স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শফিকুল ইসলাম নামে জাতীয় পার্টির এক নেতাকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় হাফিজুর রহমান হাফিজ (২৮) নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাফা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হাফিজ উপজেলার তুষখালী গ্রামের ক্বারী রুস্তম আলীর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মঠবাড়িয়া থানার ইনস্পেক্টর তদন্ত মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, হাফিজুর রহমান এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এর আগে মূল আসামি ইয়াসিনকে ঢাকা লালবাগ থানাধীন বেড়িবাধ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াসিনের আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হাফিজুর ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে জানান। ওই জবানবন্দির সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াসিন বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। সে তুষখালী গ্রামের মোঃ হাফেজ খানের ছেলে।
আহত শফিকুল ইসলাম তুষখালী গ্রামের আইয়ূব আলী শিকদারের ছেলে ও তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, গ্রেপ্তারকৃত হাফিজুর রহমানকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জমি-ব্যবসা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে বাম পা বিচ্ছিন্ন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই শফিকুল ইসলামের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় ৭ জন নামীয় ও ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। ঘটনার দিন দুপুরেই শফিকুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ভাই তুষখালী বাজারের ব্যবসায়ী নাসির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাসির হোসেন বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
Leave a Reply