পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলায় ইউনিয়নের পান্তাডুবি এলাকায় এক হিন্দু নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ও তার সহযোগী সহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের তেজদাসকাঠী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত আমিন খান ও তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক সোহাগকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান।
আটক হওয়া প্রধান অভিযুক্ত আমিন খান (৪২) তেজদাসকাঠী এলাকার চাঁন খানের পুত্র এবং সহযোগী মোটরসাইকেল চালক সোহাগ একই এলাকার বাসিন্দা। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারী (৩১) পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আয়া পদে কর্মরত আছেন। তিনি পৌরসভার শিকারপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার শ্বশুর বাড়ি ইন্দুরকানী উপজেলা পত্তাশী ইউনিয়নে। তিনি দুই সন্তানের জননী।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগে জানাযায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই নারী একটি (রেন্ট-এ-কার) এর মোটরসাইকেলে করে পিরোজপুর থেকে কদমতলা যাওয়ার সময় পথে ব্রাক্ষণকাঠী শলারদরজা এলাকা থেকে আমিন খান নামে এক বখাটে গতিরোধ করে মোটরসাইকেলযোগে কদমতলা পান্তাডুবি এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আরও কয়েকজন মিলে একটি ভাঙ্গা ঘরের ভেতরে নিয়ে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর কাছে থাকা একটি এ্যান্ডোয়াইড মোবাইল ফোন ও বিকাশের পাসওয়ার্ড জেনে সেখানে থাকা দশ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে বের হয়ে ওই নারী রাস্তায় গিয়ে কান্নাকাটি করায় স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে পাঠায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আমিন খান ও তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালককে আটক করেছে পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত আমিন খান বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত ১১টি মামলার এজাহারনামীয় আসামী। ঘটনার পরে ওই নারী শারীরিক ও মানসিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ্য থাকায় তাকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। একটু সুস্থ্য হলেই তিনি এজাহার দিবেন এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সাথে জড়িত বাকী অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply