দুটো কন্যা-সন্তান জন্ম নিলেই পরিবার বিসুখ অনুভব করে, যদিও খুশি থাকার ভান ধরে এবং অনেক দম্পতি পুত্র-সন্তানের প্রবল আশায় তৃতীয়…+ সন্তানের জন্মদান প্রকল্প গ্রহণ করেন।
ধৈর্য্য ধরে অসহায় কন্যা-শিশু।
চোখের সামনে ভাইকে নিয়মিত অপেক্ষাকৃত ভাল খাবার দেয়া হয় দেখেও হাসিমুখে মেনে নেন কন্যা সন্তান।
ধৈর্য্য ধরেন বোন।
নিজের অমতে সরকারী চাকুরীজীবি অথবা প্রবাসী খোদার-খাসি’র সাথে বিয়েতে রাজি হয়ে যান পরিবারের কথা মাথায় রেখে; নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ অথবা ভালোবাসা-বাসিকে বিসর্জন দেন কন্যা।
ধৈর্য্য ধরেন হবু-বধূ।
সন্তান জন্মদান করতে গিয়ে একজন মা একাধিকবার মাসের পর মাস শারীরিক এবং মানসিক ‘যার পর নাই’ যাতনা সহ্য করেন।
ধৈর্য্য ধরেন গর্ভধারিনী।
কন্যা সন্তান জন্মদান করার দায় শুধু মহিলাকেই নিতে হয়! মূর্খ্য দামড়া-পুরুষগুলো বুঝতেই চায়না যে, কন্যা সন্তান জন্মদানে পুরুষের ভূমিকাই মুখ্য।
ধৈর্য্য ধরেন মহিলা।
বছরের পর বছর গৃহকর্তার সংসারে ২৪ ঘন্টা বেতন-বিনে সার্ভিস প্রদান করেন গৃহকর্ত্রী।
ধৈর্য্য ধরেন সহধর্মিণী।
হারামজাদা-মার্কা পতিদের পরকীয়া-কম্ম কঠিন হস্তে দমন করেন ডায়মন্ড-কঠিন জায়াগন।
ধৈর্য্য ধরেন জায়া।
পুরুষের মানবিক বিয়ের দ্বিতীয় তৃতীয়.. স্ত্রীদেরকেও মেনে নেন নারী।
ধৈর্য্য ধরেই চলেছেন নারী।
নারী শুধুমাত্র ইহজগতেই ধৈর্য্য ধরেন না; পরজগতেও নারীর জন্য অপেক্ষা করছে স্বর্গীয়-স্বামীর ৭০জন হুরকে চোখের সামনে অনাদিকাল যাবৎ মেনে নেয়ার কঠিন ধৈর্য্য।
ধৈর্য্য ধরেই চলবেন নারী… !
নারী, তোমায় স্যালুট।।
লেখক,
জিয়াউল ইসলাম, লন্ডন।
