পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটায় সেলটেক কোম্পানির টাইলস ক্রয় করে এক ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় আব্দুল জলিল নামের ওই ব্যক্তি হতাশায় ভুগছেন। আব্দুল জলিল পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ কন্ট্রাক্টরের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল জলিল পরোকালের নৈকট্য লাভের আশায় প্রবাসের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে চরদুয়ানি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মঠেরখালের বটতলা নামক নিজ বাড়ির সামনে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১১শ স্কোয়ার ফুটের একটি মসজিদ নির্মাণ করেন।
মসজিদটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ মসজিদটি আরো সুন্দর করার লক্ষ্যে তিনি আরো প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে সেলটেক কোম্পানির সেলটেক ব্রান্ডের এ-গ্রেডের টাইলস মসজিদটিতে ব্যবহার করে ব্যাপক ভাবে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল জলিল।
জানা গেছে, সেলটেক টাইলস উক্ত মসজিদে ব্যবহার করার পরে, টাইলস লাগানো ওয়াল পানি দিয়ে পরিস্কার করলে টাইলসের রং ওঠে বিশ্রী হয়ে যায়।
পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পাথরঘাটা বাজারের সেলকেট টাইলস বিক্রেতার মাধ্যমে সেলটেকস এর মঠবাড়িয়ার ডিলার মো. মনির হোসেনকে জানালে তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও দীর্ঘ প্রায় ২০/২৫ দিনে সেলটেক টাইলস কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় চরম হতাশায় পড়ছেন মসজিদ নির্মাতা আব্দুল জলিল।
এ ব্যাপারে ডিলার মনির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার কোম্পানির টাইলসের ব্যাপারের অভিযোগ অস্বীকার করে টাইলস লাগানো মিস্ত্রীর ত্রুটির কথা বলেন।
তবে মিস্ত্রী যখন টাইলস গুলি লাগিয়েছেন তখন ওই ভাবে রং বোঝা যায়নি যার প্রমাণ টাইলস ধোঁয়ার পূর্বের ও বর্তমান ছবি।
জানতে চাইলে মসজিদ নির্মাতা আব্দুল জলিল বলেন সেলটেক কোম্পানির টাইলস খুবই নিম্নমানের হওয়ায় চরম ভাবে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তিনি বলেন, অনেক আশা করে আমি মসজিদে সেলটেক টাইলস লাগিয়ে ব্যাপকভাবে প্রতারনার শিকার হয়েছি।
আব্দুল জলিল আরো বলেন, টাইলস গুলি এতটাই নিম্নমানের যে লাগানোর পরে পানি দিয়ে পরিস্কার করার পরে টাইলসের রং ও ছাপা ধুঁয়ে বিশ্রী হয়ে গেছে।
Leave a Reply