স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তিনটি পরিবারের নিয়মিত চলাচলের রাস্তা দীর্ঘ ১৩দিন ধরে আটকে রাখেন স্থানীয় ধুপতি গ্রামের মাওলানা ইদ্রিস আলী ও তার স্বজনরা। ইদ্রিস আলী উপজেলার ধুপতি গ্রামের মৃত আইয়ুব কারীর পুত্র।
ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইদ্রিস আলী তার আপন চাচাতো ভাই হাবিবুর রহমান, আবু সালেহ ও আবু হানিফের পরিবারকে অবরুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে ৭ ফুট প্রশস্ত একটি স্বচল রাস্তার মাঝখানে খুঁটি পুঁতে গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। এতে তিনটি পরিবারের ১০-১২ জন মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। গত রোববার বিষয়টি জানিয়ে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মঠবাড়িয়া শাখায় হাবিবুর রহমান একটি লিখিত অভিযোগ করেন। মানবাধিকার কর্মীরা সোমবার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তারা স্থানীয় লোকদেরকে রাস্তা থেকে খুটি উপড়ে ফেলে গৃহ নির্মাণের সরঞ্জামাদি রাস্তার বাইরে নামিয়ে রাখতে বলেন। স্থানীয়রা মানবাধিকার কর্মীদের সহায়তায় অবরুদ্ধ রাস্তাটি উন্মুক্ত করতে সক্ষম হন।
এ বিষয়ে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের সমাজসেবক মোশারেফ হোসেন শরীফ বলেন, ইদ্রিস মাওলানা পূর্বেও রাস্তাটি কেটে চলাচলের অনুপযোগী করেছিল, আমি বাধা দিলে তিনি তখন সফল হয়নি। কারো পথ আটকানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও বেআইনি। মানবাধিকার কর্মীদের উপস্থিতি জানতে পেরে আমি একজন প্যানেল চেয়ারম্যান সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা উদ্ধারে তাদের সহায়তা করি।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মঠবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিনের চলাচলের পথ আটকানোর অভিযোগ পেয়ে আমরা দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে সোমবার দুপুরে গঠনস্থল পরিদর্শন করি। তখন এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পক্ষদ্বয়কে নোটিশ জারি করা হয়। এসময় ভুক্তভোগি পরিবার ও উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের দাবিতে রাস্তা থেকে বাধা সৃষ্টি করা গৃহ নির্মাণের সরঞ্জামাদি সরিয়ে দেয়া হয়। রাস্তাটি মূলত শত্রুতার জেরে বেআইনিভাবে আটকানো হয়েছিল। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী রাস্তাটি বেশ পুরনো এবং এজমালি সম্পত্তিতে রয়েছে। এখানে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমানের অংশ রয়েছে। আমরা ইদ্রিস আলীর সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি বাড়িতে থাকলেও সামনে আসেননি।